আবুল হায়াত বাচ্চু, সাভার প্রতিনিধি:
জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাতে দীর্ঘ সময় ধরে চলা লোডশেডিং চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে। দিনের বেলা ছাড়াও মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত একটানা বিদ্যুৎ না থাকায় অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি ছাড়াও বাসা বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে স্থানীয়রা।
বাইপাইল, পলাশবাড়ী, কাঁইচাবাড়ী, জামগড়া, ভাদাইল এবং নবীনগরের কুরগাঁওসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন একাধিকবার বিদ্যুৎ চলে যায়। বিশেষ করে মধ্যরাতে লোডশেডিং সহ্যসীমা ছাড়িয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। একদিকে প্রচণ্ড গরমে ঘরের ভেতরে থাকা দুষ্কর, অন্যদিকে রাতের বেলা বাইরে বের হওয়াও অসম্ভব।
শিক্ষার্থী নাজিবা ইলহাম বলেন, আগামী মাসে এইচএসসি পরীক্ষা। বর্তমানে মডেল টেস্ট পরীক্ষা চলছে লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমত প্রস্তুতি নিতে পারছি না।
গার্মেন্টস কর্মী হানিফ বলেন, “সারাদিন কাজের পর একটু বিশ্রাম নিতে চাই। কিন্তু মাঝরাতে কারেন্ট চলে গেলে ঘুম হয় না। গরমে পুরো রাত ছটফট করতে হয়। সকালে আবার কাজে যেতে হয়, চোখে ঘুমভাব থাকায় কাজে মনোযোগ দিতে পারিনা। এভাবে শরীর আর টিকছে না।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, সারাদিন বেশির সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রীজে রাখা অনেক পন্য নষ্ট হওয়ায় আর্থিক লোকসান হচ্ছে। গভীর রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় দোকান ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এসময়টাতে চুরির আশঙ্কা বেড়ে যায়। অনেকেই বাধ্য বিকল্প ব্যবস্থা নিলেও তা সাধারণ মানুষের পক্ষে সামলানো কষ্টকর।
এ বিষয়ে ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার আখতারুজ্জামান লস্কর জানান, “গ্রীষ্মে অধিক চাহিদা ও জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করতে হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি লোডশেডিং কমিয়ে আনতে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।”
এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুযায়ী লোডশেডিং হলে সে অনু্যায়ী কাজকর্ম সম্পন্ন করতে পারেন তারা।